...

Blog

বাউন্স রেট কি? প্রমাণিত এবং কার্যকরি ৭টি বাউন্স রেট কমানোর উপায়

বাউন্স রেট

বাউন্স রেট কি ? বাউন্স রেট কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। যখন আপনি বা আপনার সাইটের সার্চ পারফরম্যান্স বৃদ্বির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন, তখন আপনার যা করা উচিত তার মধ্যে একটি হল উচ্চ বাউন্স রেট কমানো। অন্য কথায়, একটি উচ্চ বাউন্স রেট একটি লক্ষণ যে আপনার কৌশলে কিছু ভুল হচ্ছে তা বোঝা যায়। আপনার সাইট ভিজিটরকে আকৃষ্ট করছেন না বা আগত ভিজিটরা আপনার সাইট থেকে ভালো তথ্য পাচ্ছে না। আমরা বাউন্স রেট কি সেইটা  আগে জানি।

 

বাউন্স রেট কি?

 

বাউন্স রেট হলো একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে ভিজিটর আপনার ওয়েব সাইটের কোন পেইজে কতো সময় ব্যায় করলো এর গড় অর্থাৎ যখন কোনো ব্যবহারকারী (যেমন, গ্রাহক, বা পাঠক) আপনার ওয়েব সাইটের  যেকোনো পেইজে যান এবং একই ডোমেইনের অন্যান্য পেইজ পরিদর্শন না করে চলে যান, তখন এটি একটি বাউন্স। আপনার বাউন্স রেট হল সেই সমস্ত ব্যবহারকারীর শতাংশ যারা একই পেইজে প্রবেশ করে এবং আপনার সাইটের অন্যান্য পেইজে কোনো ক্লিক ছাড়াই চলে যায়।

 

প্রমাণিত এবং কার্যকরি ৭টি বাউন্স রেট কমানোর উপায় নিচে দেওয়া হল:

 

বাউন্স রেট কমানোর উপায়
বাউন্স রেট কমানোর উপায়

 

বাউন্স রেট কমানোর উপায় বলতে অনেক কিছুই আছে কিন্তু আজকে আমরা সেরা, প্রমাণিত এবং কার্যকরি ৭টি বাউন্স রেট কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। তো, চলুন শুরু করা যাক।

  • পেজ স্পিড অপ্টিমাইজ করুন

বাউন্স রেট কমানোর প্রথম উপায় হলো পেজ স্পিড অপ্টিমাইজ করা। ৮৫% ব্যবহারকারী একটি ওয়েব পেজ তিন-চার সেকেন্ড বা তারও কম সময়ে লোড হওয়ার আশা করে। আপনার ওয়ের সাইটের বাউন্স রেট কমাতে পেজ অপ্টিমাইজেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ওয়েব সাইট যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি কিরা হয় তা হলে অনেক প্লাগিন এর মাধ্যমে আপনি স্পিড অপ্টিমাইজ করতে পাড়বেন। যেমনঃ WP Rocket, WP Super Cache, Autoptimize, etc. এসইও এর জন্যে পেজ স্পিড অপ্টিমাইজ করা খুবই গুরুত্বপূ। আপনি চাইলে আমার এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ টিপস পোষ্টটি পড়তে পারেন

  • মোবাইলের জন্য অপটিমাইজ করুন

বাউন্স রেট কমানোর দ্বিতীয় উপায় হলো ওয়েবসাইটকে মোবাইলের জন্য অপটিমাইজ করা। বর্তমান আধুনিক যুগে আপনার ওয়েবসাইটি  যদি মোবাইলের জন্য অপ্টিমাইজ করা না হয় তাহলে এটা খুবই  হতাশাজনক। প্রতিবছর মোবাইল ডিভাইস থেকে ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে, আপনার সাইটকে মোবাইলের জন্য অপ্টিমাইজ করতে ব্যর্থ হওয়া ব্যবহারকারীদের কাছে এটা বাড়ার একটি অন্যতম কারন। তাই এটিকে অগ্রাধিকার দিন।

  • আপনার কন্টেন্ট এর পঠনযোগ্যতা উন্নত করুন

বাউন্স রেট কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূ  উপায় হলো কন্টেন্ট এর পঠনযোগ্যতা উন্নত করা। আপনার টার্গেট গ্রাহকরা আপনার সাইট ছেড়ে চলে যেতে পারে তার একটি কারণ হল পঠনযোগ্যতার অভাব। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা শুরু হয় যখন আপনার বিষয়বস্তু সঠিক এবং পাঠযোগ্য হয়। বিশেষ করে, কন্টেন্ট যদি বড় হয় তখন পাঠকরা ভয় পায়, তাই এগুলি এড়িয়ে চলুন।

কন্টেন্ট আরও পাঠযোগ্য করার জন্য এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল:

    1. আপনার বিষয়ের উপর আরো আলোকপাত করার জন্য সাবহেডিং ব্যবহার করুন।
    2. প্রচুর চার্ট, ছবি, স্ক্রিনশট এবং উদ্ধৃতি ব্যবহার করুন, যেখানে উপযুক্ত।
    3. বুলিট পয়েন্ট ব্যবহার করুন বেনিফিট বা লক্ষণীয় পয়েন্ট ব্যাখ্যা করতে।
    4. কয়েকবার বোল্ড কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। (এটি বেশি করবেন না)
    5. আপনার বিষয়বস্তুতে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন, পাঠকদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাতে, কেবল পড়ার পরিবর্তে।
    6. “উপসংহার” দিয়ে আপনার বিষয়বস্তু শেষ করুন। এটি পাঠককে শেষ কয়েকটি শব্দ দ্রুত পড়তে এবং পদক্ষেপ নিতে বলে এবং আপনার উপসংহারকে কার্যকরী করুন।

আপনার সাইট কতটা পঠনযোগ্য তা পরীক্ষা করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্লিক করুন

  • সঠিক বিষয়বস্তু দিয়ে আপনার ব্লগকে সতেজ রাখুন

সঠিক বিষয়বস্তু সহ আপনার ব্লগকে সতেজ রাখা, সর্বদা সেরা ROI প্রদান করবে। হাবস্পটের মতে, যে ব্যবসাগুলি তাদের ব্লগগুলিকে নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট দিয়ে আপডেট করে, সেগুলি অন্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে বেশি লিড তৈরি করবে। যাইহোক, শক্তিশালী কন্টেন্ট সঠিক কন্টেন্ট থেকে আলাদা করা গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী কন্টেন্ট আপনার পাঠকদের কাছ থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু এটি তাদের সমস্যার সমাধান নাও করতে পারে। বিপরীতে, সঠিক কন্টেন্ট তাদের প্রশংসা করবে, এটি তাদের বাস্তবায়ন এবং তাদের জন্য ফলাফল তৈরির জন্য কার্যকরী টিপসও দেবে।

  • আকর্ষণীয় মেটা ডেসক্রিপশন লিখুন

বাউন্স রেট কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূ  উপায় হলো আকর্ষণীয় মেটা ডেসক্রিপশন লিখা। অনেক কোম্পানি সার্চ ব্যবহারকারীদের জন্য তাদের মেটা ডেসক্রিপশন অপ্টিমাইজ করে না। ফলস্বরূপ, তাদের ক্লিক-থ্রু রেট কমতে থাকে। হয়তো তারা ভাবেনি যে এটি এত গুরুত্বপূর্ণ – কিন্তু এটি। যখন ব্যবহারকারীরা গুগল অনুসন্ধানে একটি কীওয়ার্ড টাইপ করে, অনুসন্ধান শব্দটির সাথে মিলে যাওয়া যেকোনো শব্দকে বোল্ড করা হয়, এটিকে বাকি থেকে আলাদা করতে এবং অনুসন্ধানকারীকে সেই ফলাফলটি বিবেচনা করতে বলা হয়। তাই বাউন্স রেট কমাতে মেটা ডেসক্রিপশন অপ্টিমাইজ করতে হবে।

  • এক্সটার্নাল লিংক নতুন উইন্ডোতে ওপেন করার জন্য সেট করুন

ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যেকোনো সফল ওয়েব ডিজাইনারের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলের একটি অংশ। যখন আপনি একই ট্যাবে লিঙ্ক খুলবেন তখন আপনি ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যাক বাটুন চাপার ক্লান্তি তৈরি করবেন। এর মানে হল, যখন কোনো ব্যবহারকারী পেইজের একটি লিঙ্ক ক্লিক করেন, তাদের আপনার সাইটে ফিরে আসার জন্য ব্যাক বোতামটি ক্লিক করতে হবে। এতে আপনার পেজ ভিউ কমে যাবে। যদি তারা আপনার ট্যাব থেকে তিনটি ভিন্ন বাহ্যিক লিঙ্ক পরিদর্শন করে, তারা তিনবার ব্যাক বোতামটি ক্লিক করবে। এটি সময়সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকর। এটি প্রস্থান এবং বাউন্স হার উভয়ই বৃদ্ধি করে। তাই বাউন্স রেট কমাতে এক্সটার্নাল লিংক নতুন উইন্ডোতে ওপেন করার জন্য সেট করতে হবে।

  • ইন্টারনাল লিংকিং

বাউন্স রেট কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূ  উপায় হলো ইন্টারনাল লিংকিং। ইন্টারনাল লিঙ্কগুলি এমন লিঙ্ক যা একটি ডোমেইনের এক পেইজ থেকে একই ডোমেনের একটি ভিন্ন পেইজ যায়। এগুলি সাধারণত ভিজিটোরকে ওয়েবসাইট এ অনেক সময় ধরে রাখতে ব্যবহৃত হয়। আর ভিজিটোর যখন অনেক সময় ওয়েবসাইটে ব্যায় করে তখন এটা বৃদ্বি পায়।

 

Share This Post

Facebook
LinkedIn

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.